Miler sohoporiborton pddhoti alochona koro-মিলের সহ পরিবর্তন পদ্ধতি আলোচনা করো
- সংজ্ঞা
মিল (Mill) সহপরিবর্তন পদ্ধতির সূত্রটিকে এইভাবে ব্যক্ত
করেছেন : যখন কোনাে একটি ঘটনা বিশেষভাবে বাড়ে-কমে,
তখনই যদি অপর একটি ঘটনাও একইভাবে বাড়ে-কমে, তাহলে।
সেই ঘটনাটি হবে অপর ঘটনার কারণ বা কার্য বা তার সঙ্গে হবে।
কোনাে কার্যকারণ সম্পর্কে সম্বন্ধযুক্ত।
- সাংকেতিক উদাহরণ (Symbolical Example) :
পূর্ববর্তী ঘটনা অনুবর্তী ঘটনা
A¹ BC ...... ...... a¹bc
A²BC ...... ..... a²bc
A³BC ...... ...... a³be
এখানে পূর্ববর্তী ঘটনায় A যতই বাড়ছে অনুবর্তী ঘটনাতেও a ততই বাড়ছে; কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকছে। সুতরাং সিদ্ধান্ত হল : 'A হয় a-এর কারণ।'
- বাস্তব উদাহরণ (Concrete Example) :
১. প্রত্যক্ষ পরিবর্তন : উত্তাপ যতই বাড়ে, তাপমান যন্ত্রের পারদও ততই বিস্তৃতি লাভ করে। সুতরাং সিদ্ধান্ত করা যায় যে, উত্তাপ বৃদ্ধিই হল পারদের বিস্তৃতির কারণ।
2. বিপরীত পরিবর্তন : শিক্ষা যতই প্রসারলাভ করছে, অপরাধের সংখ্যা ততই কমছে। সুতরাং, অনুমান করা যায় যে, শিক্ষার প্রসারই হল অপরাধ কমার কারণ।
৩. জোয়ারভাটার কারণ আবিষ্কার : Albert the Great (1206-1280 খ্রি.) নামে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়ােগ করে চঁাদ ও জোয়ারভাটার মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ আবিষ্কার করেন। পর্যবেক্ষণের সাহায্যে তিনি দেখেন যে, চাদের আকৃতি এবং জোয়ারভাটা একইভাবে বাড়ে ও কমে। এর থেকে তিনি অনুমান করেন যে, চঁাদ ও জোয়ারভাটার মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ আছে। [সহ পরিবর্তন পদ্ধতির দুটি রূপ : এই পদ্ধতি ব্যতিরেকী পদ্ধতির একটি বিশেষ রূপ বা অন্বয়ী পদ্ধতির একটা বিশেষ রূপ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
- সুবিধা
১. সহ পরিবর্তন পদ্ধতি আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, একমাত্র এই পদ্ধতির সাহায্যেই আমরা কার্য ও কারণের পরিমাণগত স্বভাবের পরিচয় পাই। তর্কবিজ্ঞানী ফাউলার (Fowler) বলেন, সহ পরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়ােগ করে একদিকে যেমন কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়, অপরদিকে তেমনি কার্যকারণের পরিমাণগত হ্রাসবৃদ্ধির সঠিক অনুপাতও নির্ণয় করা সম্ভব হয়। অনেকসময় এই পদ্ধতির সাহায্যে ব্যতিরেকী পদ্ধতির সিধান্তকে আরও বেশি সুনিশ্চিত করা হয়। এই কারণে সহপরিবর্তন পদ্ধতিকে ব্যতিরেকী পদ্ধতির পরিপূরক বলা হয়।
2.সহপরিবর্তন পদ্ধতি কোনাে ঘটনার অতিরিক্ত হ্রাসবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার করতে সাহায্য করে। আমরা অনেক ক্ষতিকারক খাদ্য বা পানীয় প্রতিদিন গ্রহণ করছি, যার ফল হয়তাে বুঝতে পারছি না। যেমন—ধূমপান যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তা আমরা অনেকসময় বুঝতে পারি না। কিন্তু ধূমপানের পরিমাণ খুব বেশি বাড়াবার ফলে তা যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বুঝতে পারা যায় এবং ধূমপানের সঙ্গে স্বাস্থ্যের ক্ষতির যে একটা কার্যকারণ সম্পর্ক আছে, তা আবিষ্কার করতে পারা যায়।
- অসুবিধা
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam line in the comment box