বচন কাকে বলে
উত্তর:-
দুটি পদের মধ্যে কোনাে একটি সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিকে বলা হয় বচন।
যেমন—সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব’। এই বচনে মানুষ এবং মরণশীল জীব’—এই দুটি পদের মধ্যে একটি সম্বন্ধকে স্বীকার করা হয়েছে। কোনাে মানুষ নয় পূর্ণ। এই বচনে মানুষ এবং পূর্ণ’–এই দুটি পদের মধ্যে একটি সম্বন্ধকে অস্বীকার করা হয়েছে। কাজেই, বচন হল ঘােষক বাক্য—জগতের বিষয় সম্পর্কে কোনাে কিছুর স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি। একটা যুক্তি যেসকল বাক্য দিয়ে গঠিত তাদের বচন বলে, অর্থাৎ বচন হল যুক্তির অঙ্গ।
তা ছাড়া, বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে। প্রতিটি বচন কোনাে কিছু সম্বন্ধে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে। যাকে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তা সত্য বা মিথ্যা হতে পারে। কাজেই যেসব বাক্য প্রশ্ন,আদেশ, বিস্ময় বা ইচ্ছা প্রকাশ করে, সেগুলি বচন নয়; কেননা কেবলমাত্র বিবৃতিমূলক বাক্য ছাড়া অন্য কোনাে বাক্যের ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যার প্রশ্ন ওঠে না।
- উপরের এই আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি :
(১) বচন হল ঘােষক বা বিবৃতিমূলক বাক্য, যা এই জগতের কোনাে কিছু সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে।
(২) বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে।
বচন সাধারণত দু-রকমের হয়—নিরপেক্ষ বচন ও সাপেক্ষ
বচন। যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধটি কোনাে শর্তের উপর
নির্ভর করে না, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে। এটি সাধারণত সরল বচন।
যেমন—ফুলটি হয় লাল। অপরপক্ষে যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের
সম্বন্ধটি শর্তের উপর নির্ভর করে, তাকে সাপেক্ষ বচন বলে। যেমন :
যদি তুমি আমাকে ভালােবাসাে তাহলে আমি গান গাইতে পারি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam line in the comment box